বৃষ্টিতে নিঃসঙ্গ আমি...

আকাশ কাঁদছে কেন?
এখন তো তার কাঁদার সময় নয়...
এখন আমার কাঁদার সময়...
আমার ‘অতুল’ আমার পাশে নেই।

চাঁদটা নেই কেন?
ও, বুঝেছি...সেবার ভরা পূর্ণিমাতে
অতুল ছিল যে আমার সাথে
তখন থেকে তুমি হলে ম্রিয়মান...
বসন তোমার কালো মেঘের চাদর।

আমি একা দাঁড়িয়ে বাসার ছাঁদে
কল্পনাতে এ এক দিলখোলা প্রান্তর...
কোন রূপকথাতে হয় নি যেন আঁকা
এমন সর্বনেশে বৃষ্টিপাতের ছবি।

জল পড়ছে জানি আকাশ থেকে...
অশ্রু আমার ঝরছে তারি সাথে...
নীল হয়েছে হৃদয়...বেদনাতে...
নীলকমলও তার তুলনায় ফিকে।

চোখ পড়ে যায় হঠাৎ ঘুলঘুলিতে...
জোড়া চড়ুই বেঁধেছে সেথা বসত
খায়দায় আর তা’ দেয় ডিমেতে...
সুযোগ বুঝে কুড়িয়ে আনে রসদ।

তাদের দেখে আমার ঈর্ষা জাগে...
বুকের কষ্ট অশ্রু হয়ে নামে...
তবু মরার আগে আমার ছোট্ট বাড়ি
লিখে দিব চড়ুইদুটোর নামে।

তারপর এক ঝুম বৃষ্টির দিনে...
কোন এক বয়োবৃদ্ধ চড়ুই...
গল্পচ্ছলে বলবে আমার কথা...
গল্প হয়ে নাহয় বেঁচে রই।

বৃদ্ধ চড়ুই গল্পে গল্পে তখন...
বলবে দেখো - তোমার আমার কথা...
প্রশ্ন যখন তোমার চলে যাওয়া...
নামবে তখন নিঠুর নীরবতা...

থাকে না ফুল সস্তা ফুলদানীতে...
মাছ বাঁচে না শুকনো ডাঙ্গাতে...
সস্তা আমি ...সস্তা ভালোবাসা...
হাত দিলে না তাই আমার হাতে।

তোমার সাথে বৃষ্টি ছোঁব বলে...
পার করেছি কত খরার দুপুর...
স্বপ্নমাঝে ভাসত দু’চোখেতে...
বৃষ্টিভেজা তোমার পায়ের নূপুর।

কষ্ট পেয়ে হয়ে জীবন্মৃত...
হাঁটি আমি কত অচিন পথ...
রৌদ্রহীমবর্ষা ছোঁয় না আমাকে...
আমার স্বপ্ন আমিই করি বধ।

আকাশ হতে বৃষ্টি ঝরে পরে...
হাওয়ায় হাওয়ায় গাছের পাতা নড়ে...
আর আমার সঙ্গী আমার ভাঙ্গা মন...
তা’ছাড়া আর কিছু নেই যে সাথে...
পারিনা আর হিসেব মেলাতে...
আমি যে বৃষ্টিভেজা নিঃসঙ্গ একজন...

ভালোবাসি...

তারপর...অনন্তকাল ধরে...
তুমি থাকবে আমার আলিঙ্গনে...
তোমার ঠোঁটের মাঝে ঠাঁই খুজে নেবে আমার ঠোঁট জোড়া...
তোমার চোখের মাঝে খুঁজে নেব অনন্ত মহাকাল...
আমার ক্ষুদ্র হৃদয় নাচবে তোমার হৃদয়ের তালে...
আমার ভালোবাসার স্রোত
খেলবে তোমার তটে...
দু'টি হৃদয়ে স্পন্দিত হবে একই অনূভুতি...
"ভালোবাসি...ভালোবাসি..."

ছায়ার কথা

জ্যোৎস্না রাতে হাঁটছি একা
নিঃসঙ্গ এক পথের বুকে...
ছিলাম ভালো, আত্মভোলা
হাঁটছিলাম নিজের সুখে।


হঠাৎ দেখি চাঁদের আলোয়,
আমার ছায়ার পাশে পাশে,
কেউ ছিল না আশে পাশে...
তবুও কারো পড়লো ছায়া।

দেখি আমি, আমার ছায়া...
অকারণে, অচেনা সুখে
হাতটি নিল ঐ ছায়াটির...
সুখ খুঁজলো ছায়ার বুকে।

ছায়ার মায়া আমার হৃদয়
দোলালো যে আপন মনে
মহাসুখে আমার ছায়া
কইলো কথা ছায়ার সনে...

কবি হওয়ার বাসনাতে,
হাঁটছিলাম জোছনাতে,
হৃদয়হীনা, ছিলে না তো...
ছিলে না তো আমার সাথে...
শুধু...তোমার ছায়া-আমার ছায়া
খেলেছিল সেই সে রাতে...

sapna tutt raha hay...

najuk dil...
tute fute sapna...
tej dour vag chalte huye jindegiyon se...
nata jorne ki gustakhi kar baythta hay...
dukha dil aur vi dukha hota hay..
sapna vi kahin tukro ho jata hay..
lekin kabhi kabhi tor ne ki dukh
lakho nata jour ne ki sukhse behtar hota hay..

বলতেও পারি...

অদ্ভুত তন্দ্রা মাঝে...
মেঘ গুনে গুনে...
অনেক বেলা হলো...
অনেক কথা বলা হলো...
তবুও কিছু কথা বলা হলো না...
রাত্রি গড়িয়ে সকাল দুপুর...
হাতে প্রিয়ার রুপোর নুপুর...
......একলা বসে ভাবি...
আমার শিশির ভেজা ঘাস ...ছোঁওয়া হলো না...

তপ্ত রৌদ্দুরের রাজপথে
শুধু একলা চলাই হলো...
তবু...স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি...
শিশির ছোঁওয়া না হোক আমার...
জানি বৃষ্টি ভেজাবে আমায়...অকাল বর্ষণে...

জানি এখনও ক্ষুদ্র হৃদয়টা...
নেচে চলেছে জীবনের সুরে সুরে...
তাই নৃত্য-নাট্য ভংগের আগেও
বলে উঠতে পারি..."তোমায় ভালবাসি..."

বয়স আর যৌনতাও আজ পুঁজিবাদের দখলে

নারী ...
তোমার রুপ এসে থামে আজ
সৌন্দর্য সাবানের মোড়কে...

পুরুষ...
তোমার পৌরুষের ধার
আজ শুধুই ক্ষুর আর শেভিং ক্রীমের বিজ্ঞাপনে...

যুগল...
তোমাদের ভালবাসা
কনডমের বিজ্ঞাপনের পুঁজি...

তোমাদের নর সন্তান...
ডিটারজেন্ট আর পুষ্টি পানীয়ের মডেল...

তোমাদের নারী সন্তান...
শুধুই লোশন...ক্রীম আর স্যানিটারী ন্যাপকিনের দখলে...

বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও ফ্যালনা নন...
ইন্সুর‌্যান্স আর ডেভেলপারদের বিজ্ঞাপনে
ব্যাপক কাটতি তাদের...

পুঁজিবাদের হাটে বিক্রী হয়ে যাই...
জ্ঞাতে...অজ্ঞাতে...
মনকে কখনও বা প্রবোধ দিয়ে বলি...
"ভালই দাম পেলাম..."

শহর...

এমন শহরে বাস করি আমি
যেখানে পথশিশুদের খেলনা
মায়ের সতীত্ব বিলোপের সাক্ষী বেলুন...
যেখানে কাক বাসা বাঁধে পলিথিন আর পি.ভি.সি পাইপ দিয়ে
যেখানে আকাশ আটকা পরে আছে পিকচার টিউবে...
যেখানে স্রোতের দেখা মেলে
শুধু বেসিনে...নালাতেও নয়...নদীতে তো নয়ই...